প্রকাশিত: ০৬/০১/২০১৭ ৭:১২ এএম

এ.এম হোবাইব সজীব,

মহেশখালী উপজেলার সরকার ঘোষিত বিনামুল্যের বই এখন আর বিনামুল্যে নেই। আর সেশন ফিঃ‘র নামে মাত্রাতিরিক্ত টাকা আদায় করেই বই দিচ্ছে এবং সমাপনি পরীক্ষার্থীদের প্রত্যয়ন দিতে পারছেনা টাকা ছাড়া।

জানা যায়, মহেশখালীর প্রতিটি উচ্চ বিদ্যালয়ে সেশন ফিঃ‘র নামে ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে আদায় করছে হাজার হাজার টাকা। সেশন ফিঃ না দিলে বই দিচ্ছেনা। এব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানিয়েছেন সচেতন অভিবাবক মহল।

অন্যদিকে প্রাথমিক সমাপনি পরীক্ষার্থীদের প্রত্যয়ন দিতে প্রধান শিক্ষকরা ১০০ টাকা থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত আদায় করছে এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে। সবচেয়ে বেশী প্রতিজন থেকে ২০০ টাকা করে আদায় করছে কালারমারছড়া নোনাছড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামিমা আকতার।

নোনাছড়ির নাছের জানান প্রধান শিক্ষক ২০০ টাকার কমে প্রত্যয়নপত্র দিচ্ছেনা। অনেকে বাধ্য হয়ে ধার করে টাকা দিয়ে প্রত্যয়ন পত্র সংগ্রহ করেছে। নাম প্রকাশে এক ছাত্র অভিভাবক বলেন, প্রধান শিক্ষক আমার আতিœয় কিন্তু প্রতিটি কাজে তার দুর্ণীতি সীমার বাইরে চলে যাচ্ছে। কেউ কিছু বললে তার এক ঘনিষ্টজন সরকারী উর্ধ্বতন অফিসার বলে ভয় দেখায়। ক্লাশ সজ্জিতকরণ, প্রাক প্রাথমিক‘র উপকরনের টাকা সহ অনেক টাকাই সে আত্মসাত করেছে।

এগুলো সংশ্লিষ্ট প্রশাসন দেখে ও না দেখার মতো করে আছে। এ বিষয়ে শামিমা আকতারের সাথে মুঠো ফোনে কথা হলে তিনি বলেন যাদের কোচিং ফিঃ বাকী ছিলো তাদের কাছ থেকে ২০০ টাকা করে নিয়েছে। এগুলো প্রত্যয়নের টাকা নয়। আর কোচিং ফিঃ বৈধ কিনা জানতে চাইলে সে কোন সদোত্তর দিতে পারেনি। পরোক্ষ ভাবে তিনি প্রত্যয়নের জন্য উল্লেখিত টাকা আদায় করার কথা স্বীকার করেন।

কালারমারছড়ার সাবেক এক মেম্বার বলেন, শুধু নোনাছড়ি নয় ইউনিয়নের সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধানরা বই এবং প্রত্যয়ন দিতে টাকা নিচ্ছে। তদন্ত করলে সব বেরিয়ে আসবে।

এবিষয়ে মহেশখালী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ শহিদুল্লাহ‘র সাথে মুঠো ফোনে কথা হলে তিনি প্রত্যয়নের কথা বলে টাকা নেওয়ার কোন বৈধতা নেই বলে স্বীকার করে দৈনিক আমাদের কক্সবাজারকে বলেন নোনাছড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়মের অনেক কথা শুনলেও কেউ লিখিত অভিযোগ করেনা। অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ###

প্রেরক,

পাঠকের মতামত